নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মৌমাছির কামড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশু উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের সোহেল রানার মেয়ে।
নিহত সামিরা যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ছাড়াও একই পরিবারের নিহতের আরও তিন চাচাতো ভাই বোন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতের মধ্যে অন্যরা হলো নিহত সামিরার ছোট ভাই সাজেদুল (৩) বয়ড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিহতের বড় চাচা মিরাজ মিয়ার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সজল মিয়া (১৪) ও মেয়ে রোজামনি রোজামনি (২) আহতেরা বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে আপন চার চাচাতো ভাইবোন রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ভ্যানের ওপর বসে খেলতে ছিল। খেলা অবস্থায় হঠাৎ করে ভ্যান উল্টে রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর পড়ে যায়। ওখানে মৌমাছি/ বোলতার বাসা থাকায় বাসা ভেঙে সবাইকে মৌমাছি আক্রমণ করে।প্রতিবেশি মো. ছবেদ আলী দেখে তাদের উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সবাইকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়, বাচ্চাদেরকে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে সিংগাইরের কাছাকাছি গেলে সামিরা আক্তারের মৃত্যু হয়।
প্রতিবশি রাশেদুল রাজ জানান, একই পরিবারের আপন চার চাচাতো ভাইবোনকে মৌমাছি/ বোলতায় কামড়ায়। এতে সামিরা মারা যায়। বাকি তিন জন এখবও হাসপাতালে ভর্তি। অত্যান্ত হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। তাই সকল অভিভাবককে শিশুদের নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
নিহত সামিরার বাবা মো. সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং আমার বড় ভাইয়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে মৌমাছির আক্রমনের শিকার হয়। এতে আমার মেয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে মারা যায়। আমার আরেক ছেলে, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ তিনজন এখনও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply