চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুই চিকিৎসক হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করেছেন হাইওয়ে থানার ওসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এনেসথিসিওলজিষ্ট ডা. কে.এম যোবাইদুল হুদা ও মিরসরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ডা. সুমন ঘোষ চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই যাবার পথে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার সামনে কনষ্টেবলরা গাড়ি থামান। এ সময় ডাক্তাররা তাদের পরিচয় দিয়ে ডিউটি শেষে ফিরছেন এবং সীতাকুণ্ডের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে জরুরী অপারেশনে যাচ্ছেন বলে জানান। কিন্তু তাদের কথা না শুনে কনষ্টেবল ডাক্তারদের গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং তাদের বারআউলিয়া হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসেন। বাধ্য হয়ে ডাক্তারা হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আওয়ালের সাথে দেখা করে তাদের পরিচয়পত্র দেখান এবং জরুরি চিকিৎসার কাজে যাচ্ছেন জানিয়ে ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানান।
ডা. যোবাইদুল হুদা ও সুমন ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু হাইওয়ে ওসি তাদেরকে সহযোগিতা না করে উল্টো তুই-তোকারি করাসহ তাদের মোবাইলে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটান। এমনকি ডা. সুমন ঘোষকে এক পুলিশ সদস্য গায়ে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে বলেন। এরপরও ডাক্তাররা তাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলে এবং তাদের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার অনুরোধ করলে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পর ওসি তাদেরকে ছেড়ে দেন।
তারা আরো বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতেও চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাইয়ে যাতায়াত করছি। এর পরিণামে এমন অপমান হবো কখনোই ভাবতে পারিনি। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে আমরা দায়িত্ব পালন করব কি করে?
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে কোন গাড়িকেই ঢাকা অভিমুখে যেতে দিচ্ছিলাম না। অনেকেই মিথ্যা কথা বলে কাছাকাছি যাচ্ছি বলেও শেষে ঢাকার দিকে চলে যাচ্ছেন বলে আমরা জেনেছি। তাই সরকারী ত্রাণ বা অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া অন্য গাড়িকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। বুধবার অসংখ্য গাড়ি আমরা ধরেছি। জনগণ কিছুই মানছে না। বিভিন্ন অযুহাতে এখান থেকে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই আমরা কাউকেই যেতে দিচ্ছিলাম না। ডাক্তার জেনেও কাউকে হয়রানির কথা সঠিক নয় বলে দাবী করেন তিনি।
Leave a Reply