1. nasiruddinsami@gmail.com : admin :
December 13, 2024, 9:29 am

সিংগাইর পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

  • আপডেট সময় : Saturday, November 30, 2024
  • 27 বার দেখা হয়েছে

নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। প্রায় কোটি টাকা পানির বিল, অর্ধকোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন, স্বাস্থ্য প্রশাসনসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কাছে। পৌরসভার হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ডের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন।
এদিকে পৌরসভার পানি শাখার সেপ্টেম্বর ’২৪ পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৭ টাকা। হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ১২ লাখ, উপজেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৬০ হাজার, ভূমি প্রশাসনের কাছে ২০ হাজার, আনসার ব্যাটালিয়ান অফিসের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
সূত্রটি আরও জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আ’লীগ নেতা মো. দিদারুল আলম বাবুল পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড ইজারা নেয় নিট ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকায়। এরপর থেকে মেয়র, কাউন্সিলরদের স্বার্থে খাস কালেকশন করা হয় এ রাজস্ব আয়ের খাত থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাত থেকে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ১০০ টাকা পায় পৌরসভায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে স্থবির হয়ে পড়ে এ খাতের রাজস্ব আয়। বর্তমানে এ খাত থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা পৌরসভা পেলেও বাকি টাকা যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হাতে। এছাড়া বাংলা ১৪২৯ সালে নীট ২২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকায় পশুরহাট ইজারা নেয় মো. জুয়েল। ১৪৩০ সাল থেকে মেয়র, কাউন্সিলরদের স্বার্থে এ উৎসটি থেকে খাস কালেকশন করা হয় ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা। ১৪৩১ সালে খাস কালেকশন থেকে ৭ই কার্তিক পর্যন্ত পৌরসভা ফান্ডে জমা পড়ে মাত্র ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। বাকি টাকা অন্য কারও পকেটে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার বাৎসরিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি টাকা। আর এ রাজস্ব আয়ের উৎস্য হচ্ছে পানি বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, হাট-বাজার ইজারা, বাসস্ট্যান্ড ইজারা, বিভিন্ন লাইসেন্স-নিবন্ধন ফি, ভূমি হস্তান্তর ফি, ডাম ট্রাক ভাড়া, ভবনের নক্‌শা অনুমোদন ফি, পাবলিক টয়লেট ইজারা, পৌরসভা মার্কেটের কক্ষ ভাড়া থেকে। এসব উৎস থেকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হলে বেতন সংকটে ৭৯ জনবলের টিম নিয়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে পৌরসভা। বকেয়া আদায়ে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2014 sangbadsaradesh24
Theme Customized By BreakingNews