নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মহামারির করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলাও ঘোষিত লকডাউন চলছে। দেশের কখন এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এ প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে জানা নেই। দীর্ দেড় মাস ধরে হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটছে হোটেল কর্চারী ও শ্রমিকদের। অনেকদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে মালিকরাও। জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত প্রায় শতাধিক হোটেল,রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব হোটেল রেস্টুরেন্টে প্রায় কয়েকশত শ্রমিক কাজ করে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চালাতেন তারা। কিন্ত গত দেড় মাস ধরে তারা বেকার বসে থাকায় অনেক কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটছে তাদের।
সিংগাইর উপজেলা চান্দহর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজারে অবস্থিত সোহান সুইটমিট এ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. রুহুল আমিন বলেন,হোটেল বন্ধ থাকায় আমি অনেক ক্ষতির সম্মুক্সীণ হচ্ছি। আরো কতদিন এভাবে চলবে জানি না। আমার এখানে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করে। এখন তাদের অনেক কষ্টে দিন কাটছে। কেউ তাদের সাহায্যে সহযোগীতা করেনি প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন সব নিয়মনীতি মেনে আমরা হোটেল খুলতে চাই। একাধিক শ্রমিক জানান হাতে কাজ নেই। পয়সাও নেই। যতই সময় যাচ্ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিরতণ হলেও আমাদের ভাগ্যে এখনো কোনো সাহায্যে জোটেনি। সিংগাইর উপজেলার জামশা বাজারের শিহাব রেস্টুরেন্টু এর কর্চারী মো. শামীম হোসেন বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর থেকে অনেক কষ্টে আমাদের দিন যাচ্ছে। চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার কথা শুনি ত্রাণ দেয়া তো দুরের কথা কেউ আমাদের কেমন আছি জিজ্ঞেসও করেনি।
সিংগাইর বাজারে কাংশা রোডে অবস্থিত আল-মদিনা হোটেল এর মালিক মো. হযরত আলী বলেন বলেন , রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে হরেক রকম আইটেম তৈরি করা হয়। ব্যস্ত সময় পার করেন কারিগররা। অথচ করোনাভাইাসের প্রভাবে এখন সেই দৃশ্য নেই্। আমাদের রেস্টেুরেন্টের ২০ জন কর্চারী রয়েছেন। তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। , শ্রমিকরা বার বার ফোন দিচ্ছেন কখন রেস্টুরেন্ট খুলব। তারা বাড়ি থেকে চলে আসতে চাইছে। আর পারছে না বসে থাকতে। সিংগাইর উপজেলা গেট সংগল্ন লবঙ্গ হোটেলের মালিক মো. আলমগীর বলেন, আমাদের হোটেল উপজেলার সাব-রেজিসিট্র অফিস নির্র। ঢাকাসহ সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন স্থান হতে আসা ব্যক্তিরা এখানে জমি রেজিস্ট্রি শেষে খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্ত করোনা পরিস্থিতির কারনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সহ সরকারী সকল অফিস বন্ধ থাকায় আমি সরকারী নির্শনা মেনে হোটেল বন্ধ রেখেছি। এখন রমজানের কারণে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সিংগাইর উপজেরা নিরহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে আমরা সরকারীভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য নির্ষ্ট কোনো শ্রমিক সংগঠনের জন্য খাদ্য বরাদ্ধ আসেনি তবে যাদের ঘরে খাবার নেই তারা যদি আমাদের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করেন তাহলে আমরা সেখানে খাদ্য পৌয়ে দিচ্ছে।
Leave a Reply