নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মাত্র ৫ দিনে মাথায় সিংগাইরে সেই অটোচালকের হত্যাকারী কে গ্রেপ্তার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ ,সেই সাথে ছিনতাই হওয়া তার অটো গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে। সিংগাইর থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন (বিপিএম) জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ ১৬ মে (শনিবার) সকালে ছিনতাই হওয়া সেই অটোগাড়িটি উদ্ধার করা হয় এবং হত্যাকারী এবং চোরাই অটো গাড়ির ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আর ও জানান, আজ সকালে সাভার উপজেলার তেতুঁলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর মধ্যে পাড়া একটি অটো গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটো গাড়ি গ্যারেজের মালিক এবং হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, মূল হত্যাকারী আব্বাস উদ্দিন (৩৬) পিতা হাশেম হাওলাদার উপজেলা মনপুরা-জেলা-ভোলা এবং অটো গ্যারেজের মালিক রংপুর জেলার গঙ্গাচর উপজেলা আলমদিঘী গ্রামের মো. এনামুল হকের ছেলে মো. মিলন (৩১)। মামলার তদন্তকারী অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন (বিপিএম) জানান, অটো ছিনতাই এবং হত্যাকারী মূল আসামী আব্বাস উদ্দিন ঘটনার দিন রাতে উক্ত অটোগাড়ি ভাড়া করে এরপর তারা দুজনে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা এলাকার রাস্তায় বসে ইফতারি খান। ইফতারি খাওয়ার সময় আব্বাস উদ্দিন সরবতের সাথে ৫টি ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ান অটোচালককে। এর পর তারা অটো নিয়ে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ,রাত যখন গভীর হয় তখন সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ঢাকা-মানিকগঞ্জ রোডের পুর্বভাকুম ও ভূমদক্ষিণ গ্রামের মাঝামাঝিতে অটোচালককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায় বলে এরপর কি হয়েছে সে বিষয়ে সে কিছুই জানেনা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় । তাদেরকে রিমান্ড চেয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হবে । তিনি আরও বলেন, অটো গ্যারেজের মালিক মিলন হোসেন একজন অটোচোরের সহযোগী তার কাছ থেকে আর আগে সিংগাইর থানা এলাকা থেকে চুরি হওয়া একটি অটো এক সাথেই উদ্ধার করা হয়েছে এবং সে নিয়মিত চুরির গাড়ির ব্যবসা করেন বলে তাদের কাছে খবর আছে। উল্লেখ্য যে, গত ১১ মে ( সোমবার) ভোর ৪ টার দিকে ঢাকা-মানিকগঞ্জ ভায়া সিংগাইর রোডের জয়মন্টপ ইউনিয়নের পুর্বভাকুম এলাকার আনান কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টিজ এর সামনে থেকে গাড়ী চাপা দেওয়া একটি লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার লাশের পরিচয় পাওয়া যায, নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মালেক (৫০) তার বাড়ি ভোলা জেলার ইলিশা গ্রামে সে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা বড়পাড়া গ্রামে জমি কিনে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন এবং সে একজন অটোচালক বলে তার সন্তানরা জানান।
Leave a Reply