1. nasiruddinsami@gmail.com : admin :
May 16, 2025, 2:48 pm
শিরোনাম :
সিংগাইরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার দায়ের করা মামলার এজারভূক্ত আসামী বিমানবন্দর থেকে আটক সিংগাইর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার “গলাচিপায় মা ও শিশু হাসপাতাল চালুর দাবিতে জনসাধারণের মানববন্ধন” সিংগাইরে এজারভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন সিংগাইর থানার মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার জেলার শ্রেষ্ঠ এস আই নির্বাচিত হলেন সিংগাইর থানার পার্থ শেখর ঘোষ  জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই হলেন সিংগাইর  থানার আব্দুল জলিল সিংগাইরে পুলিশ ক্যাম্প পোড়ানো মামলায় আটক ৭ মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন- সিংগাইর থানার ওসি জে.ও.এম তৌফিক আজম সিংগাইরে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে এনজিও কর্মীর আত্মহত্যা

সিংগাইরে সাবেক সাংসদ মমতাজ বেগমসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের

  • আপডেট সময় : Thursday, October 10, 2024
  • 215 বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামী করে ৯০ জনের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও আরো আসামি করা হয়েছে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাকর্মীদের।বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১১ বছর পর গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর পৌর এলাকার গোবিন্দল নতুন বাজার বাস স্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।মমতাজ বেগম ছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সিংগাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র মীর মো. শাহজাহান, উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মাজেদ খান, উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান শহিদ, পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আবু নইম মো. বাশার, পৌরসভার সাবেক কমিশনার আব্দুস সালাম খান, মো. সমেজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রমিজ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার রবিউল আলম উজ্জ্বল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল বারেক খান। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে আসামি করা হয়েছে- মো. শওকত হোসেন বাদল, মো. রমজান আলী, মো. আবুল হোসেন মোল্লা, গাজী কামরুজ্জামান, দেওয়ান রিপন ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম রাজুসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ বহণ করা আরো অনেকেই।

 

পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, তৎকালীন দায়িত্ব থাকা মানিকগঞ্জ সদরের সার্কেল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মোঃ মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এস আই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন সহ ৩৮ জন।

‎জানা যায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি ও ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে একই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার গোবিন্দল থেকে মুসল্লিদের একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে গোবিন্দল বাজারের দিকে যায়। সেখানে আগে থেকেই আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বিদেশী রিভলবার, চাইনিস পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সাথে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী পুলিশের পোষাক পরিহিত অবস্থায় বিনা উস্কানিতে নিরহ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালায়।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, বিগত ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে আমার ভাই মো. নাসির ও আমি নতুন বাজার বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণে ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে আমার নিজের জমিতে কাজ করতে যাই। এসময় বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী ও পুলিশ টহল দিচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর একদল মুসুল্লি একটি মিছিল নিয়ে সিংগাইর উপজেলা সদরের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা প্রদান করে। এতে ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের মধ্যে এক পর্যায়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে মিছিলকারীগণ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এরই মধ্যে ওই স্থানে সরকার দলীয় সমর্থক কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ও পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় কিছু সংখ্যক লোক বিদেশী রিভলবার, চাইনিস পিস্তল, দেশীয় রামদা, ছামুরাই, চাইনিজ কুড়াল, ছেন, কিরিছসহ হাজির হয়। এরপর তারা পুলিশের ছত্র ছায়ায় পুলিশের পোষাক পরিধান করে বিভিন্ন প্রকার প্রাণনাশক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাই মো. নাসির এবং একই এলাকার আলমগীর, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও শাহ আলম মারা যায়। এছাড়া মামুন, হেলেনা, লিংকন, আনোয়ার, রুবেল, ফারুক, আলমাছসহ ১০-১২ জন মুমূর্ষু অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকে।

পরবর্তীতে হামলায় নিহতের ঘটনায় এজাহার দায়ের করতে থানায় গেলে মামলা গ্রহণ না করে পুলিশ জানায় এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। এতে বেশি বাড়াবাড়ি করলে এই মামলাই আসামি করে চালান দিয়ে দিবো।

মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, রক্ষিত ছুরতহাল ও পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের কপি অত্র মামলায় তলবে এনে ব্যবহার করা আবশ্যক। এছাড়া মামলাটি জুডিসিয়াল তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সবশেষে আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবিও করেন তিনি।

অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2014 sangbadsaradesh24
Theme Customized By BreakingNews