মানিকগঞ্জে সিংগাইর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার লাখ লাখ মানুষ ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠছে। গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছে তাপমাত্রা। যার কারণে শ্রাবণের ভ্যাপসা গরমে কষ্ট করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। দিনের বেলা রোদে ঘর থেকে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের ফুলকি। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। বৈরী আবহাওয়ায় কায়িম পরিশ্রমে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে অটোরিকশা-ভ্যানচালক বা দিনমজুরেরা তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন। গরমের কারণে অধিকাংশ হাট-বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা। যে কারণে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বেচাকেনায় মন্দাভাব। চলমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।দোকানদাররা বলছেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় কষ্ট বেড়েছে মানুষের। শরীরের পানি শূন্যতায় অনেকেই ঘন ঘন স্যালাইন ও শরবত পান করছেন। তীব্র তাপ উপেক্ষা করে কৃষি জমিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। শহরে রাস্তার ধারে কেউ সবজি বিক্রি করছেন। এ ছাড়া সড়কে চলাচলকারী রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির চালকরা গরমের কারণে অস্থির। শহরের তাপমাত্রা গড়ে ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
ছাতক বাজারের অটোরিকশাচালক সফিক জানান, গরম বেশি হওয়ার কারণে বেশি সময় যাত্রী পরিবহন করা যায় না। রোদে গাড়ি চালানো যায় না। আয়-রোজগারও কমে গেছে। এ সময় দিনমজুর সোনা মিয়া ও রাবেয়া বেগম তারা জানান, গরম বেড়ে যাওয়ায় কাজে ক্লান্তি বেড়েছে।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডলীভোগ এলাকার বাসিন্দা, শরবত বিক্রেতা সঞ্জু সরকার জানান, প্রায় ৮ বছর ধরে আপেল, মাল্টা, তোকমা, ভুষি ও ট্যাং দিয়ে শরবত তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন তিনি। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার টাকার শরবত বিক্রি করেন তিনি।
কাস্টমস রোডের মুখের রাস্তায় দাঁড়িয়ে শরবত বিক্রি করছিলেন আশরাফুল আলম। তাঁর দোকানের সামনে গিয়ে দেখা গেল গ্রাহকের ভিড়। প্রতিদিনই তাঁর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, তাপমাত্র বেশি থাকায় রোগবালাই বেড়েছে। অনেকেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।
Leave a Reply