নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয় সরকারের আওয়ামীলীগ সমর্থিত জন প্রতিনিধিরা বিএনপির রোষানলে পরে গত ৫ আগষ্ট এর পর থেকেই সিংগাইর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর মেয়রসহ ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যায়। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে থেকেই সকলেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এদিকে রবিবার (১৮ আগষ্ট) অনেক চেয়ারম্যান অফিস করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মী সর্মথকদের বাধার মুখে পরেন। এমনকি চেয়ারম্যানদের উপস্থিত হওয়ার খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল ৯ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.সায়েদুল ইসলাম অফিসে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হয়। পরে তিনি পৌনে ১০ টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে জড়ো হওয়া লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যান অফিস তালা লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও তালেবপুর,ধল্লা,জয়মন্টপ,চান্দহর ইউনিয়নসহ প্রতিটি ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিএনপি কর্মী সর্মথকরা। চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন,আমার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগানো হয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীকে অবগত করি। সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন,অবস্থার বেগতিক দেখে বাহির থেকেই আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করেছি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.সায়েদুল ইসলাম বলেন,আমি পৌনে ১০ টা পর্যন্ত অফিস করে বের হয়ে যাই। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা অফিসে তালা দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন,কেউ যদি বাধার সম্মুখীন হন বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনী দেখবেন।
Leave a Reply