নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে দেবীর প্রতিমা রাঙাতে ব্যস্ত মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শিল্পীরা। এ বছর এ উপজেলায় ৬৭ টি মণ্ডপে দেবী দুর্গার পূজা হবে।
বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ শেষ। শিল্পীরা রংতুলির আঁচড়ে দেবীকে সাজাচ্ছেন। দেবী দুর্গার সঙ্গে আছেন তাঁর চার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ। দেব-দেবীকে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, পোশাক পরিধানসহ প্রতিমা সাজাতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে শামিয়ানা দিয়ে কাপড়ে ঘিরে আলোকসজ্জার প্রস্তুতি নিচ্ছে পূজামণ্ডপ কমিটি।উপজেলাজুড়েই চলছে পূজার জোর প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে শিল্পীদের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও বিরাজ করছে নতুন পোশাক কেনার ধুম। অন্যান্য বছরের মতো এবারও জেলা জেলাসহ উপজেলার মার্কেটগুলোতে কেউ কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার করছেন।
গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম । উলুধ্বনি, কাসর, ঘণ্টা, ঢাকঢোল বাজিয়ে আগামী মঙ্গলবার শুক্লাপঞ্চমী পূজা দিয়ে শুরু হবে দেবী দুর্গার বোধন। বুধবার ষষ্ঠীপূজা, বৃহস্পতিবার সপ্তমী, শুক্রবার অষ্টমী, শনিবার নবমী ও একই তারিখে দশমী পূজার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পূজানুষ্ঠান। প্রতিটি দিনই দেব-দেবীর পূজার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রসাদের ব্যবস্থা। এ পর্যন্ত পূজার প্রস্তুতিতে উপজেলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের নব দিগন্ত সেবা সংঘের পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতি অর্জন চন্দ্র দাস জানান, তাদের মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন ডেকোরেটর ও আলোকসজ্জার কাজ বাকি। পূজার আগেই সব কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হবে।
Leave a Reply