নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আহস্ট (সোমবার ) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ের যাওয়ার একদিন পর ৬ আগস্ট (মঙ্হলবার) থেকে সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি শাত্বশায়িত ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও ৬ আগস্ট মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের গিয়ে দেখা যায় দু-একজন অফিসার ছাড়া আর কোনো অফিসার কাজে যোগদান করেননি। এমনকি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কোনো জনপ্রতিনিধি তাদের অফিসে যাননি। ১২ আগস্ট (সোমবার) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সরেজমিনে গিয়ে দেখা, বেশির ভাগ ইউপি ভবনে ঝুলছে তালা। আবার অনেক ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সচিব ও উদ্যোক্তাঃ বসে আছেন তবে ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ব্যক্তি যেহেতু নির্বাচিত চেয়ারম্যান তাই চেয়ারম্যান না থাকায় তেমন কোনো সেবা প্রার্থীদের দেখা যায়নি। তবে অনেকে আসছেন তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে । চেয়ারম্যান না থাকায় তারা আবার ফিরে যাচ্ছেন। কথা হয় ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মীর মো. আলী হোসেনের সাথে পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় কি সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিষদের প্রায় সব কাজই এখন অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে । আমি আমার কাজ করে রাখে চেয়ারম্যান সে যেকোনো সময় এসে তার স্বাক্ষর করে যান। পরিষদে না আসার কারণ জানতে চাইলে উপজেলার আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক ও ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সহ প্রায় কল চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গত ৫ তারিখে বিকালে দুবৃত্তরা আমার ব্যবসা ও বাড়িতে হামলা করে ভা্ঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে তাই আমি পরিষদে যেতে পারছি না। তবে আমি আমার ইউনিয়নের সকল নাগরিকদের সেবা চালু রেখেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল মোবাইলে জানান, ৫ তারিখে বিকালে বিএনপি –জামাতের নেতাকর্মীরা আমার ইউনিয়ন পরিষদের ঢুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভা্ঙচুর ও লুটপাট করে দুবুত্তরা। এসময় পরিষদে থাকা গ্রাম পুলিশদের সাথে অসাধাচরণ করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে তারা এই জন্য আমি নিয়মিত অফিস করতে পারছিনা তবে জনসাধারণের সকল ধরনের সেবা করে যাচ্ছি। এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১ পৌর মেয়র পদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান বাদে বাকী ১১ জন জনপ্রতিনিধি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত
। জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)কে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply