নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
১৫ আগস্ট, ওই দিন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতো আ’লীগ, সেই সাথে সরকারী ছুটি সহ রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালনে চলতো প্রতিযোগীতা। অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের বিরোধী সকল দল ছিল নজিরবিহীনভাবে কোনঠাসা। দমন পীড়ন, হামলা মামলায় তারা ছিল জর্জরিত। বিগত ১৫ /১৬ বছর থেকে এটাই ছিল বাস্তবতা। অর্থাৎ এই সময়ের পুরোটাই ছিল বিরোধীদের জন্য শোকের দিন মাস বছর। কিন্তু দিন বদল হয়েছে, নিলর্জ্জভাবে পতন হয়েছে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের। দীর্ঘদিন পর শান্তিতে নি:শ্বাস ছাড়ছে ছাত্রজনতা সহ আপামর মানুষ। এই অবস্থায় গেল ১৫ আগস্ট ( বৃহস্পতিবার) দিনভর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার রাজপথ দখলে রাখে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল কঠোর অবস্থানে।
সকাল ১০ টা থেকে উপজেলা চত্তরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। সিংগাইর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এই আয়োজনে দলের বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
হাসিনা সরকারের পতনের পর সিংগাইরে বাধাহীনভাবে কর্মসূচি পালন করলো বিএনপি। সিংগাইর উপজেলার বিএনপির নেতারা বলছেন- ১৪ থেকে ১৭ বছর পর আজ আমরা উপজেলা বিভিন্ন পয়েন্টে বসে কোনো সমাবেশ-কর্মসূচি পালন করেছি। এতদিন রাজপথে তাদের তেমন দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। ফলে উপজেলার কোনো স্থানে মঞ্চ বেঁধে কোনো কর্মসূচিও পালন করা হয়নি দীর্ঘ ‘১৫ বছর’।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সিংগাইর উপজেলা ও পৌর বিএনপি। দুপুরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন বিএনপির উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি আবিদুর রহমান খাঁন রোমান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- গত ১৫ বছরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, প্রত্যেকটি খুনের বিচারে হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণা করে তাকে এ দেশে নিয়ে এসে রায় কার্যকর করতে হবে। হাসিনার রেখে যাওয়া দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র জাতি শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
Leave a Reply