নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইরে টানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করার ৭৪ জন মুসল্লিকে বাইসাইকেল ও নগদ টাকা পুরস্কার দেয়াহয়। উপজেলার জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা গ্রামের আজগর আলী- হাফেজা খাতুন মডেল মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী মো. মহিদুর রহমান এ নগদ অর্থ ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন। উপজেলার জামশা ইউনিয়নের জামশা নয়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ নামাজ আদায় করেন মুসুল্লিগণ।১৫-১৬ বছর বয়সী ২০ জন কিশোরদের বাইসাইকেল ও ৫৪ জন প্রবীণদেরকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।১৮ ভাদ্র ২ সেপ্টেম্বর ( সোমবার) দুপুরে উপজেলার উত্তর জামশা আজগর আলী-হাফেজা খাতুন মাদরাসা ও এতিমখানা প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওরাঙ্গাবাদ এর পীরসাহেব হাফেজ মাওলানা সাঈদ নূর দা.বা.। বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জামশা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এ সভাপতি ও হেড অব অপারেশন (ডেল্টা ফোর্স) প্রিমিয়াম গ্রুপ মো. মফিজুল হক পথিক।
উত্তর জামশা আজগর আলী-হাফেজা খাতুন মাদরাসা ও এতিমখানার সভাপতি মো. হাতেম আলীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, মুফতি আব্দুল্লাহ , মাওলানা মহিউদ্দিন, মুফতি মাকবুল হোসেন, হাফেজ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। পুরস্কার পেয়ে খুশি মুসল্লিরা। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।বাইসাইকেল পুরস্কার পাওয়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিম খাঁ (১৩) জানায়, ৪০ দিন জামাতে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে। ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠতে প্রথম কয়েকদিন কষ্ট হয়েছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। নামাজ পড়ার পুরস্কারসরূপ বাইসাইকেল পেয়ে তার খুব ভালো লাগছে। এখন থেকে সাইকেল নিয়ে স্কুল করা যাবে বলে জানায় সে।প্রবীণ হরণ খান (৯০) জানান, আগেও নামাজ পড়তেন তিনি। তবে পাঁচ ওয়াক্তই মসজিদে এসে এবং জামাতের সঙ্গে পড়া হতো না। তবে টানা ৪০ দিন তিনি মসজিদে এসে এবং জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়েছেন। এজন্য তাকে উপহার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই উপহারের চেয়ে আল্লাহর উপহারই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন তিনি। মহান আল্লাহর সেই উপহার পাওয়ার জন্য বাকি জীবন জামাতে নামাজ আদায় করতে চান হরণ খান।অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা প্রবাসী মো. মহিদুর রহমান জানান, ৪০ দিন মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলে মহান আল্লাহ নিজ হাতে ৫টি পুরস্কার দিবেন। জানার পর তিনি নিজে ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এরপর চিন্তা করেন দেশে ফিরে নিজের এলাকার মানুষের মাঝে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য তিনি পুরস্কার ঘোষণা দেন। এতে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। নামাজের জন্য মসজিদে ১০০ জন নিবন্ধন করলেও ৭৪ জন নিয়মিত নামাজ পড়তে পেরেছেন। সবাইকে পুরস্কৃত করতে পেরে তারও অনেক ভালো লাগছে।
Leave a Reply