নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে এর পর বাড়িতে বাড়িতে চুরি করত করার সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য রুস্তমকে (৫৩) আটক করেছে স্থানীয় জনতা। এরপর গণধোলাই দিয়ে তারা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় পালিয়ে যায় চোর চক্রের অপর ৩ সদস্য। আটককৃত চোর রুস্তম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মিরহাটাইল গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ী গ্রামের মৃত.ছাত্তার মিয়ার ছেলে ইস্রাফিলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি দিনের কোনো এক সময় সুকৌশলে রান্না ঘরে থাকা মসলা ও লবণের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেয়। সেই মসলা ও লবণ দিয়ে রান্না করা খাবার খেয়ে পরিবারের লোকজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নেয়। তারই ধারাবাহিকতা রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জনৈক আব্দুল কাশেমের পরিবারে দুজন অজ্ঞান করে ও দুজনের হাত-পা বেঁধে বাড়ির মূল্যবান জিনিস চুরি করে নেয়। একই সময় পাশেই ইস্রাফিলের বাড়িতে চুরি করতে গেলে স্থানীয় পাহারাদাররা হাতে নাতে একজনকে আটক করে গণধোলাই দেন। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরের ৩ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চোরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসেন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ওই গ্রামের রনির বাড়ির ৭ জন, রসুন আলীর ৪ জন, ১ নভেম্বর মালেকের বাড়ির ৫ জন, আজাদের বাড়ির ৪ জন, বরকতের বাড়ির ৫ জন, ছত্তার আলী খানের বাড়ির ৫ জন, ইস্রাফিলের বাড়ির ৪ জনকে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
Leave a Reply