নিজস্ব প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় যখন শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তীব্র চিকিৎসক সঙ্কট, তখন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নির্দ্বিধায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। করোনা সচেতনতাস সিংগাইর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামের লোকেরা পাচ্ছেন ত্রিশ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা। জেলাজুড়ে লকডাউন তাই চিকিৎসার জন্য জনগণের নিকট বাড়ির কাছের কমিউনিটি ক্লিনিকই ভরসাস্থল। সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন ১২ শত রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় সীমিত পরিসরে চলছে বেসরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম। আবার লকডাউনের কারণে শহরের সঙ্গে বন্ধ যোগাযোগ। তাই সে পথে না গিয়ে সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যান মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর জামশা ইউনিয়নের বাস্তা কমিউনিটি ক্লিনিকে বাস্তা গ্রামের চল্রিশর্দ্ধ আকলিমা খাতুন। আকলিমা খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কঠিন অসুখেও আমরা বড় ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি না। তবে এখানেই (কমিউনিটি ক্লিনিক) পরামর্শের সাথে ওষুধও পাচ্ছি।’
আকলিমা খাতুনের মতই অনেকে এমন ভরসায়, স্বাস্থ্যসেবা পেতে উপজেলার ৩২ কমিউনিটি ক্লিনিকে যাচ্ছেন গ্রামের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। সেখানে জ্বর, সর্দি, কাশির পাশাপাশি মাতৃকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সকল প্রকার রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন তারা। নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ থাকলেও দেশের সংকটময় মুহুর্তে মানুষের সেবা দিতে পেরে খুশি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা।
Leave a Reply