নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই সিংগাইরের রাস্তাঘাটে যানবাহন, অটোরিক্সা, হ্যালোবাইক রিকশা, ভ্যান চলাচল অনেকটা কমে গেছে। রাস্তাঘাটে অটোভ্যান ও ভ্যান তেমন চোখে পড়ছেনা। স্তব্ধ হয়ে আছে জনপথ, করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। সারাদেশে সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের জনসমাগম নিষেধ করা হয়েছে। সকাল- বিকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরে রাখতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সচেতনতার জন্য,জরুরী কোন কাজ ছাড়া রাস্তাঘাটে মানুষকে না বেরোনোর জন্য বিশেষভাবে সর্তক করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে রাস্তায় বের না হওয়ার জন্য। উপজেলার দোকান ও মার্কেট গুলো একেবারে বন্ধ থাকায় জনশূণ্য হয়ে পড়েছেছিল সিংগাইরপৌরএলাকা সহ প্রত্যন্ত অঞ্চল। এতে করে আতঙ্কে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। আয় রোজগারের কোন পথ না থাকায় পেটের দায়ে তারা ঘরে থাকতেও পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে রিক্স,হ্যালোবাইক, ভ্যান গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। আজ ৯মে (শনিবার )জয়মন্টপ বাসষ্ট্যান্ডে ভ্যানগাড়ি চালক মো. হারুন ফকিরের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫-৬ জন। প্রতিদিন খাওয়া খরচ টাকা গত দেড় মাস যাবৎ বাজারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হতে পারিনাই। কোনো এনজিওর পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোন ত্রাণ পায়নি। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে সময় কাটছে। ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। ভাইরাসের কারণে রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া কম চলছে। মানুষের আনা গোনাও কম। ভ্যান বের করতে পারছিলাম না। কি করে সংসার চালবো,তাই বাধ্য হয়ে ভ্যানগাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি ? তবে আগামীকাল ১০মে রবিবার থেকে সরকারীভাবে জেলা-উপজেলায় দোকানপাট খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়ায় রাস্তাঘাটে, দোকানপাটে কিছু লোক দেখা যাচ্ছে।আশাকরি এখন ভ্যানগাড়ি চালিয়ে সংসার চালাতে পারবো। |
Leave a Reply