নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সারা দেশের ন্যায় মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। একদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অপর দিকে বন্ধ রয়েছে কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট পড়ানো। ফলে কিন্ডার গার্টেনের প্রায় ২০০০ শিক্ষক পড়েছে মহাবিপাকে। আবার অনেক শিক্ষক একটু বাড়তি আয়-রোজগারের জন্য ছাত্র- ছাত্রীদের বাসায় গিয়ে পড়াতেন কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রামণের ভয়ে অভিবাবকদের সম্মতি না থাকায় তাও রয়েছে বন্ধ। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থী অর্থ্যাৎ ছেলে মেয়েদের পড়ানো জন্য শিক্ষকদের বাসায় যাওয়ার ও কোন সম্মতি দিচ্ছেন না অভিবাবকরা। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতন বা সম্মানী পাওয়াটাও অশ্চিয়তা মধ্যে রয়েছে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষক তাদের পরিবার নিয়ে কিভাবে বাড়তি দিনগুলি কাটাবে এনিয়ে পড়েছে মহাদুশ্চিনতায়। সরকারের সাহায্য সহযোগীতার মধ্যে হাত ও বাড়াতে পারছেন না শিক্ষক হওয়ার ফলে। এমনই কষ্টের কথা জানিয়েছেন অনেক শিক্ষক। জানা গেছে, উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৭টি এখানে শিক্ষক রয়েছে ৬৩০ জন। মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভূক্ত স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে ৩১ টি শিক্ষক রযেছে প্রায় ৯৩০ এর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৪৬৫ এবং খন্ডকালীন শিক্ষক কর্মচারী আছেন প্রায় ৫শত জন এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারী সরকারিভাবে নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। যারা খন্ডকালীন শিক্ষক, কর্মচারী আছেন তারা আছেন খুব কষ্টে। এব্যাপারে সিংগাইর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আক্রাম হোসাইন ‘সংবাদ সারাদেশ ২৪.কম কে বলেন, যারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক আছেন তারা হয়তো বেতনভাতা পাচ্ছেন, কিন্ত যারা খন্ডকালীন শিক্ষক ,কর্মচারী আছেন বর্তমানে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ কারণ তারা স্কুলের সম্মানীভাতা দিয়ে তাদের সংসার চালান, স্কুল বন্ধ থাকায় বর্তমানে তাদের সম্মানী ভাতা বন্ধ আছে তাই তাদের সংসার খুব কষ্টে কাটছে। অপরদিকে সারা উপজেলায় ও পৌরসভায় সম্পূর্ণ বেসরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত প্রায় ১০৪টি কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজার। উপজেলার ধল্লা ও চান্দহর ইউনিয়নেই রয়েছে বিভিন্ন নামে ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কিন্ডার গার্টেনে প্লে ও নার্সারী থেকে ৯ম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়ে থাকে। শিক্ষকরা অনেকে আবার যৌথভাবে ঘর বা ভবন ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্য়ক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে গুণতে হবে ঘরভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন বা সম্মানি অন্যদিকে পরিবারের ভরণপোষন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং বন্ধ। আবার কোন শিক্ষক বাসায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের ও পড়াতে পারছেনা। ফলে বাড়তি রোজগারের পথটাও রয়েছে বন্ধ । বাড়তি রোজগার না করতে পেরে অনেক শিক্ষক রয়েছে মহাবিপাকে। এ ব্যাপারে চান্দহর ইউনিয়নের ইকরা আধুনিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান ডাঃ মাওলানা মো. আফজাল হোসাইন বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেতন বা সম্মানি দেই তা দিয়ে অনেক শিক্ষকের পরিবারের ভরণপোষন অপূর্ণতায় থেকে যেত। এসময়ে সরকারিভাবে একটু আর্থিক সহায়তা পেলে শিক্ষকরা মহাদুর্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেতে। ধল্লা শিশু কানন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বন্ধ। কিভাবে শিক্ষকদের বেতন দিব । আবার রয়েছে পরিবারের ভরণপোষণ। জেনিথ মডেল স্কুলের সভাপতি ও সিংগাইর কিন্ডাগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান খোকন বলেন, সরকারের নির্দেশনার প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ানো থেকেও বিরত রয়েছেন। অনেক শিক্ষক আবার ফোনে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে খোজখবর নিচ্ছেন। তাই সরকারিভাবে একটু আর্থিক সহযোগীতা পেলে হয়তো অনেক শিক্ষক দাঁড়াতে পারবে। |
Leave a Reply