নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সন্দ্বীপ সাব-রেজিস্ট্রার কর্মচারী মাহফুজ দম্পতির সম্পদের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী। মামলায় অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা উত্তর দেয়াং মোহাম্মদনগর গ্রামের এখলাসুর রহমানের ছেলে বলে উল্লেখ করা হয়।
দুদক জানায়, ২০২২ সালে দুদকে জমা হওয়া এক অভিযোগ অনুসন্ধান করে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পান অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। এরপর কমিশনের নির্দেশে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন দিলুয়ারা মাহফুজ। পরে তার সম্পদ বিবরণী যাচাই করে সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের সত্যতা পায় দুদক। দিলুয়ারা মাহফুজের এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনে তার স্বামী মাহফুজুর রহমান সহযোগিতা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মাহফুজ দম্পতির এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তারা দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২১ টাকা মূল্যের সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন। মামলায় দুদক আইনের ২৬(২), ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।সন্দ্বীপ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার (খণ্ডকালীন) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, মাহফুজ আমার অফিসে নিয়মিত অফিস করছেন। জেলা রেজিস্ট্রার মিশন চাকমা কালবেলাকে বলেন, মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে, দুদকের মামলার আসামি তিনি। আদালত এ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ তদন্তে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে তাকে গ্রেপ্তার করে চার্জশিট প্রদান করা হবে। আর এটি দেওয়ার পর থেকে তিনি তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কেননা দুর্নীতি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি প্রমাণিত ও চার্জশিট প্রদান করা হলে তখন তার চাকরির কোনো অধিকার থাকে না।
Leave a Reply