সংবাদ সারাদশ টোয়েন্টিফোর.কম ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবে বর্তমান চলমান সংকটের কারণে সারা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় ভূতুড়ে হাটে পরিণত হয়েছে প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার খ্যাত নরসিংদীতে ঐতিহ্যবাহী পাইকারি কাপড়ের হাট শেখেরচর বাবুরহাট। ব্যবসায়ীদের চলমান পরিস্থিতি চিন্তা করে, এই সংকট কাটিয়ে তুলতে শর্তসাপেক্ষে আগামী ৫ মে পর্যন্ত সীমিত আকারে বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
গত শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও দেশের অভ্যন্তরীণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধসংক্রান্ত নরসিংদী জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের সভাপতিত্বে নরসিংদী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলী হোসেন শিশির, শেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও শিলমান্দী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাকিরসহ বাবুরহাটের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে জেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র বাবুরহাট বাজারের কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শর্তগুলো হলো, আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাবুরহাট বাজারে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধুমাত্র স্টক ডেলিভারি সিস্টেম চালু থাকবে। বাজাওে কোনো দোকান খোলা থাকবে না। শুধুমাত্র ১টি শাটার খোলা রেখে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে। বাবুরহাট বাজারের সকল আড়ত ও দোকানে পাইকারি ও খুচরা সকল ধরনের পণ্যেও অর্ডার শুধুমাত্র অনলাইনে/ মোবাইল ফোনে গ্রহণ করতে হবে এবং সকল লেনদেন অনলাইন/ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। ক্রয় বিক্রয়ের জন্য কোনো জনসমাগম করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে কর্মরত কর্মচারীদের সর্বোচ্চ তিনজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একসাথে আড়ত ও দোকানে অবস্থান করতে হবে। বাজারে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ দুটি গেইটে খোলা থাকবে। বাজারের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রবেশকারীদের শরীর তাপমাত্রা পরীক্ষা, বাজারের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং বাজারে অবস্থানরত সকলকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। নরসিংদীর স্থানীয় গাড়িচালক ও গাড়িসমূহ দিয়ে আবশ্যিকভাবে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর যানবাহন রেখে মালামাল লোড-আনলোড করা যাবে না। শুধুমাত্র পার্শ্ববর্তী সরকারি মাঠ (ধূমকেতু মাঠ) ব্যবহার করতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজারের সকল রাস্তা ও যানবাহন জীবাণুমুক্তকরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সুরক্ষাবৃত্ত অঙ্কন করতে হবে। বাজারে প্রবেশকারীদের জীবাণুমুক্ত করার লক্ষে প্রবেশ গেইটে ডিজইনফেকশন টানেল স্থাপন করতে হবে।
Leave a Reply