সংবাদ সারাদেশ টোয়েন্টিফোর.কম ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক কিংবদন্তী রাজনীতিক, সরকারী তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি কুতুব উদ্দিন চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী) আর নেই। ইন্নালিল্লাহে..রাজিউন। শুক্রবার ফজর নামাজের পর বিজয়নগর উপজেলার সাতগাঁও গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এরআগে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয় বিশিষ্ট এ মুক্তিযোদ্ধাকে। সেলিম চৌধুরীর জানাযায় ব্যাপক লোক সমাগম এড়াতে তৎপর ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহনে তার নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত সেলিম চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় ঢাকায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।
১৯৫১ সালে জন্ম গ্রহনকারী সেলিম চৌধুরী ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। ১৯৭২ সালে ঢাকা সরকারী তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরআগে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেন। সেলিম চৌধুরী ১৯৭৩ সালে প্রথম চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত একটানা ৫ মেয়াদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দু-বার সংসদ সদস্য এবং একবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও করেন। সেলিম চৌধুরীর এক ভাই বর্তমানে চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিউল হক চৌধুরী জানান- রাত ৩টা ১০ মিনিটে মরদেহ ঢাকা থেকে পৌছার পর নামাজে জানাযার প্রস্তুতি নেয়া হয়। মানুষের সমাগম এড়াতে পরিবারের ১৬ জন সদস্যের অংশগ্রহনে ফজর নামাজের পরই জানাযা হয়। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন- সেলিম চৌধুরী ছিলেন এ অঞ্চলের কিংবদন্তী এক ব্যাক্তিত্ব। এই পরিস্থিতি না হলে তার জানাযায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতো। দূরদূরান্ত থেকে আসতো মানুষ। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে এবং অনেক আত্বীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ছেলেদের মধ্যে ২ ছেলে আমেরিকা ও আয়ারল্যান্ডে রয়েছেন।
Leave a Reply