সংবাদ সারাদেশ ২৪.কম ডেস্কঃ
খুলনার রূপসা উপজেলায় খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত নারী-পুরুষ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার পূর্ব রূপসা বাজার পার্শ্ববর্তী আদর্শগলির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন তারা । কয়েক দিন ধরে খাবার না পেয়ে বাধ্য হয়েই সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে বাজারের বাঁশের বেরিকেড ভেঙে রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান তারা ।
রূপসা বাসস্ট্যান্ড ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তাটি (খুলনা-মোংলা মহাসড়ক) টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে বিক্ষোভকারীরা বলেন, এলাকার প্রতিটা মানুষ ঘরে থাকলেও তাদের কাছে এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বা খাদ্য আসেনি। মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কাছে বললে তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এলাকার নেতারাও খোঁজ নিচ্ছে না। পরিবারের সদস্যরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। উপরন্তু মাছ কোম্পানিগুলোর মালিক বেতন দিচ্ছে না। কাজ-কাম নেই।
অথচ টিভিতে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষকে সহায়তা পাঠিয়েছেন। সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দিচ্ছিল তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় মানুষগুলো। এছাড়া যারা দিন এনে দিন খেয়ে এতদিন জীবনযাপন করছিলেন তারাও পড়েছেন মহাবিপাকে। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যান।
নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বুলবুল সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে বলেন, কর্মহীনদের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ পাচ্ছি তা দিয়ে কিছুই হচ্ছে না। এলাকায় ব্যাপক খাদ্যঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আমার কাছে বিতরণের জন্য অল্প কিছু চাল আছে, দেখি তা দিয়ে কতদূর কী করতে পারি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নে চার-পাঁচ হাজার অভুক্ত মাছ কোম্পানির শ্রমিক রয়েছেন। একটা কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানি শ্রমিকদের এখনো বেতন দেয়নি। আমি মালিকপক্ষের সাথে বেশ আগে থেকে কথা বলেছি। ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথেও কথা বলেছি যাতে শ্রমিকদের বেতন সময়মতো দেয়া হয়। তিনি জানান, রূপসা একটি বিশাল জনবসতি এলাকা। এখানে সরকারি সহযোগিতার চাল এসেছে ৬১ টন। যা মাত্র সাত হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু পূর্ব রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নেই নিম্নআয়ের শ্রমিক রয়েছেন পাঁচ-ছয় হাজার।
Leave a Reply