নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকা তেজগাঁওয়ে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ‘ তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স এই কমপ্লেক্স মোট ১০টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে যার মধ্যে একটি হলে মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। এই অফিসে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ টি দলিল সম্পাদিত হয়ে থাকে এবং অসুস্থ্যতাসহ অনন্যা কারণে ঢাকাসহ দেশের যেকোনো প্রান্তে এই মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ৫-৬টি দলিল দাতার নিজ বাসায় গিয়ে কমিশনের মাধ্যমে জমি, ফ্ল্যাট বা প্লাট রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। এসব কমিশনের ক্ষেত্রে অফিসের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হয়। নিয়মঅনুযায়ী কমিশনের ক্ষেত্রে প্রতিটি কমিশনে একজন সাব রেজিস্ট্রার গিয়ে সব কিছু যাচাই-বাছাইকরে কমিশন করবেন। অথবা উক্ত সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন সরকারী কর্মচারী গিয়ে কমিশন রেজিস্ট্রি করবেন। কিন্ত বাস্তবে দেখা যায় একটি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একজন সাব রেজিস্ট্রার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রেশন, বালাম বই ,দলিলের নকল স্বাক্ষর করতে করতে তিনি হয়তো কমিশনে যেতে পারেন না। তাই তিনি বাধ্য হয়ে অফিসের সরকারী কর্মচারী হিসেবে অফিসের পিয়নকে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র দিয়ে তাকে কমিশন রেজিস্ট্রি করতে পাঠান। এমনি মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসেও কমিশন দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে অফিসের পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমকে পাঠানো হয়। কমিশন দলিল রেজিস্ট্রেশন করার আগে উক্ত দলিল লেখক প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সাব রেজিস্ট্রারকে দেখাান। কমিশন দাতার সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সব কিছু-সঠিক থাকলে তিনি কমিশন করার অনুমতি দেন। তাই কমিশন দলিলে রেজিস্ট্রে করতে যাওয়া ব্যক্তি শুধু তাদের টিপসই নিবেন। কিন্ত মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম কমিশন রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে দাতা-গ্রহীতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে শুরু করে এবং কাগজপত্র বিভিন্ন ভুলক্রুটি ধরে তাদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কমিশন রেজিস্ট্রি করে দেন। তার চাহিদামতো টাকা না পেলে দাতা-গ্রহীতাদের কমিশন রেজিস্ট্র হবে না বলে ভয়-ভীতি দেখান। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এখন যদি রেজিস্ট্র না হয় তাহলে পরে তারা বিপদে পরতে পারেন এমন আশঙ্কায় তারা বাধ্য হয়ে তার চাহিদামতো টাকা দিয়ে কমিশন রেজিস্ট্র করে। পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম এমন সেচ্ছাচারিতা ও অনিময়ের মাধ্যমে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা । ঢাকায় গড়েছেন নিজস্ব বাড়ি। তার এমন সেচ্ছাচারিতার, অনিয়ম. দুর্নীতির অফিযোগ এনে মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বেশ কয়েকজন দলিল লেখক আইন উপদেষ্ঠা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যাতে সে কোনো কমিশন দলিল করতে যেতে না পারেন এবং তার অবৈধ আয়ের মাধ্যমে যে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে তার সঠিক তদস্ত দাবী করেন। এসব সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে মোবাইল ফোনে কল করিলে তিনি মোবাইল ফোন সিরিভি না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার মো. শাহীন আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের আচরণগত বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকগণ মৌখিক অফিযোগ ভিত্তিতে আমি তার কমিশন দলিল যাওয়ো আপাতত বন্ধ করে দিযেছি।
Leave a Reply