1. nasiruddinsami@gmail.com : sadmin :
মেসে খাবার নেই, গ্রামে পা রাখতেই লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে এলো এলাকাবাসী - সংবাদ সারাদেশ ২৪
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

মেসে খাবার নেই, গ্রামে পা রাখতেই লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে এলো এলাকাবাসী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২০ মে, ২০২০
  • ৮২ বার
লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসছে এলাকাবাসী

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক করোনা রোগীকে গ্রামে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে স্থানীয়রা। আক্রান্ত ওই রোগী উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রাসেল আহমেদ (২৬)। তিনি বগুড়ার শেরপুরের ভিআইপি হাসপাতালে ল্যাব সহকারি হিসেবে কাজ করেন। গত ১৭ মে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

মঙ্গলবার বগুড়া সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ গউসুল আজিম চৌধুরী তাড়াশ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে রাসেল আহমেদে মোবাইলে জানান, গত ১২ মে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দিলে ১৭ মে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি শেরপুরের ভাড়া মেসে থেকে চিকিৎসা নিলেও তার খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়। কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার দুপুরে সেখান থেকে তার নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্স যোগে রওয়ানা দেন। এ খবর পেয়ে গ্রামের প্রবেশ পথে লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসী এবং তাকে গ্রামে প্রবেশে বাধা দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজি উদ্দিন বলেন, এটা অমানবিক। নিরুপায় হয়ে রাসেল আহমেদ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ ওবায়দুল্লাহ, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে রাখেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক সহ সাধারণ রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজের সহায়তায় তাকে রাতে সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

রাসেল আহমেদ বলেন, খবরটা শোনার পর এমনিতেই আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তার ওপর এলাকার মানুষের এ অমানবিক আচরণ আমাকে বিস্মিত করেছে।

তাড়াশ হাসপাতালের আইসোলেশন সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করেন, নামেই আইসোলেশন। নোংরা বাথরুম, বেডে ধূলায় আস্তরণ। চিকিৎসা ও খাদ্য কোনোটাই মেলেনি।

তাড়াশ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিয়া বলেন, তাড়াশে দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ই-মেইলে তথ্য পাওয়ায় পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠি। দু’জনের মধ্যে রাসেল আহমেদকে রাতে সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।। অপর রোগী, উপজেলার কাস্তা গ্রামের মোঃ ফিরোজ আহমেদ (২৮) তার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, এটা অমানবিক ডাক্তারের পরামর্শে তিনি হোম কোরেন্টাইনে থাকার জন্য গ্রামে এসেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 SangbadSaraDesh24.Com
Theme Customized By BreakingNews