নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিবুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে জোরপুর্বব জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায এ অভিযোগ দায়ের করেন মো. শরিফুল ইসলাম খান । জানা গেছে, ছাত্রলীগের ওই নেতা দলের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক শরিফুল ইসলাম খানের জায়গা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছেন। ভুক্তভোগীর হিজুলী মৌজার এসএ ১৭ ও আর এস ৫৯ দাগের পৈতৃক ৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করেছে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো এবং আনোরুল ইসলাম খান নামের এক মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্রলীগের এই নেতা ভুক্তভোগীর জায়গা দখল এবং তার পরিবারের ওপর অত্যাচার করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম খান।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার শিববাড়ির হিজুলীর এলাকায় ছাত্রলীগের ওই নেতার বাড়ির পাশেই ভুক্তভোগীর জমি। ওই জমির ওপর ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম মাটি ভরাট করে একটি ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। ছাত্রলীগ নেতা আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো ভুক্তভোগীর জায়গা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছেন।স্থানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম ওই জায়গায় কয়েক দিন আগে মাটি ভরাট করে একটি ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে রেখেছেন। ওই জায়গা তার ভাই-ভাতিজারা জোরপূর্বক দখল করে ওয়াল নির্মাণ করছে। আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো আর শরিফুল ইসলাম খান আপন চাচা ভাতিজা; কিন্তু ত্রয়ো ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় জোর করেই তার চাচার জমি দখল করেছেন।ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ওই জায়গা আমার বাবা এবং মা আমাদের ভাইদের সীমানা স্কেচ করে ওসিয়ত করে দিয়েছেন। স্কেচ অনুযায়ী পূর্ব পাশের ৫ শতাংশের মালিক আমি। ২০১১ সালে সবার জায়গা বুঝিয়ে পেয়ে ২০১৬ সালে আমি ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার মাটি ভরাট করে একটি ছাপড়া ঘর নির্মাণ করি। এরপর থেকে আমার ভাতিজা ছাত্রলীগের নেতা আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো এবং আমার ভাই আমার জায়গা দখল করার পাঁয়তারা শুরু করে। পরে আমার বোন আলমতাজ খানম সহকারী জজ আদালতে একটি বাটোয়ারা দেওয়ানি মামলা করেন। বর্তমানে আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, তারা আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও আমার ভাই চক্রান্ত করে জায়গা দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে। আমার ভাই একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তার ছেলে ছাত্রলীগের একজন ক্যাডার। এরা বাপ-বেটা মিলে আমার পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন করছে। আমি নিরুপায় হয়ে মানিকগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি । কিন্তু পুলিশ কোনো কাজ করেনি।
আনোয়ার ইসলাম খান বলেন, শরিফুল ইসলাম আমার ছোট ভাই। ওর জায়গা আমি দখল করি নাই। ও মানুষের কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। আমি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হলে সরকার বুঝবে। সরকার আমায় ডাকবে ওর কী?
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিবুল ইসলাম ত্রয়ো বলেন, আমি ওনার জায়গা দখল করি নাই। এ অভিযাগ সঠিক নয়।
Leave a Reply