পাকুন্দিয়া সংবাদদাতা
বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বেগুন চাষিরা হতাশ। করোনা পরিস্থিতিতে হাটবাজারে পাইকার ও ক্রেতা শূন্যতায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বাইরের পাইকাররা না আসায় বেগুন বিক্রি করতে না পারাও ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে বলে বেগুন চাষিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, এ উপজেলায় ব্যাপক পরিমাণে সবজির চাষ হয়ে থাকে। চরাঞ্চলসহ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে কমবেশি সবজির আবাদ করা হয়। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে করে এখানকার সবজি চাষিরা উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে না পেরে অর্থনৈতিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন। অনেকে এসব সবজি চাষ করে সংসার চালান।
এতে করে সবজি বিক্রি করতে না পেরে তারা হতাশায় ভুগছেন।
তারা জানান, বাম্পার ফলন হওয়ায় যেখানে কৃষকের মুখে হাসি থাকার কথা, সেখানে করোনার কারণে পানির দরে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে দারদেনা পরিশোধ করে পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা ডাল ভাত খেয়ে বাঁচাই মুশকিল হবে।
চরপাকুন্দিয়া গ্রামের মুকুল মিয়া জানান, তিনি ৩৫শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন মাত্র ৪ হাজার টাকা। এতে তিনি পুঁজি হারিয়ে চরম লোকসান গুনছেন।
চরপলাশ গ্রামের আতিকুল্লা বলেন, ৭০ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করতে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০হাজার টাকা বেগুন বিক্রি করেছি। এক লাখ টাকার উপরে লোকসানের পাশাপাশি নিজের হাড়ভাঙা পরিশ্রম তো আছেই। এখন সারা বছর সংসার চালাব কেমনে আর ধারদেনার টাকাই পরিশোধ করব কেমনে তা ভেবে পাচ্ছি না।
Leave a Reply