ফলে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের লোকজন কর্মহীন ও উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন।শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর গ্রামের দিনমজুর সমির হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনমজুরের কর্ম করে আহারের সংস্থান হয় সমির হোসেনের পরিবারের। তিনি দৈনিক ৩০০/৩৫০ টাকা আয় করে কোনরকমে দিনযাপন করেন। নিরব ঘাতক করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর কর্মহীন ও উপার্জনহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
উপজেলার অলিপুরে সোনার বাংলা হোটেলের কর্মচারী সিরাজ মিয়া জানায়, এ রেস্টুরেন্টে কাজের সুবাদে নিজের থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি মায়ের জন্যও টাকা পাঠায় এ কিশোর। সে প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা বেতনের পাশাপাশি কাস্টমার টিপস্ মিলিয়ে প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকার মতো হয়। সে টাকা থেকে প্রতি মাসে তার মায়ের জন্য ৩ হাজার টাকা গ্রামে পাঠায়। এখন রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় মায়ের জন্য কিভাবে টাকা পাঠাবে তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছে সে। একই সময়ে কথা হয় ব্রাক্ষণডুরা ইউপির পুরাইকলার রিক্সা চালক জনাব আলীর সাথে, জনাব আলী বলেন, রোজগারের আশায় রিক্সা নিয়ে বসে আছি কোনো যাত্রী নাই। করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় তাদের আয়-রোজগারও কমে গেছে। ফলে পরিবার নিয়ে এসব নিম্নআয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে আছেন।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক বলেন করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা ও সচেতন করতেই এসব নিম্নআয়ের মানুষকে ঘরে রাখতে তাদের মাঠে থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান বলেন চলমান এ সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা আজ থেকে বিতরণ শুরু করবে। নিম্নআয়ের মানুষদের কিভাবে ভালো রাখা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি তারা। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া বলেন তার পৌরসভার ২৫ ভাগ মানুষ নিম্নআয়ের। তিনি ইতিমধ্যে প্রতিটি ওর্য়াডে নগদ অর্থ সহায়তা প্রধান শুরু করেছেন। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বলেন জেলা প্রশাসনের চাল সহায়তা ইতিমধ্যে তিনি বন্টন করেছেন। তিনি আরো বরাদ্ধের জন্য চেস্টা করছেন।
Leave a Reply