নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানা ১৫ বছর দেশের সমস্ত সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে রাজ করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোলাপগঞ্জের মানুষ। গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যর্থনে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতনের পরও চলছে গোপালগঞ্জের মানুষের দাপট। আইনমন্ত্রণালয়ে অধীনে নিবন্ধন অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলার একজন সাব রেজিস্ট্রিার নিজের ক্ষমতাবলে একাধিকারবার তার বদলি আটকে রয়ে গেছে একই কর্মীস্থলে। তার এই বার বার বদলি স্থগিত হওয়া নিয়ে খোদ সাব রেজিস্ট্রেশন বিভাগে চলছে কানাঘোষা। তিনি কিভাবে একাধিকার তার বদলি স্থগিত করেন। সেই ক্ষমতাধর সাব রেজিস্ট্রিার হলেন, নিজ জেলা গোপালগঞ্জ ৫ বছর বয়সের ভোয়া মুক্তিযোদ্ধা কাশিয়ানি উপজেলার সাব রেজিস্ট্রিার শাহ আব্দুল আরিফ । তাকে পর পর দুইবার কাশিয়ানি উপজেলা বদলির আদেশ দেয় আইন ও বিচার বিভাগ। গত ২৮ নভেম্বর নিবন্ধন অধিদপ্তরের ১০.০৫.০০০০.০০১.৯৯.০০১.২৪-৯৯০ নম্বর স্বারকে ৩৮ জন সাব রেজিস্ট্রকে বদলি করেন আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১০.০০.০০০০.১৩০.১৯০.০০১.২১.৪৩৩ নম্বর স্বারকে ১ ডিসেম্বর তাদের ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদানের বিজ্ঞপ্তি জারি মহা পরিদর্শক নিবন্ধনকে অনুরোধ করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার সাব রেজিস্ট্যার শাহ আব্দুল আরিফকে কাশিয়ানি থেকে মাদারীপুর জেলার রাজৈব উপজেলায় ৩৮ নং তালিকায় তার বদলি নাম পাওয়া যায়। ৫ ডিসেম্বর তার নতুন কর্মস্থল মাদারীপুরের রাজৈব উপজেলায় যাওয়ার কথা থাকলেও ৫ ডিসেম্বর ১০.০০.০০০০.১৩০.১৯.০০১.২১-৪৪০ নম্বর স্বারকে বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। এর আগে ২৯ অক্টোবর তাকে একই কর্মস্থ থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উৃপজেলায় বদলি করা হয়। সে সময়ও তিনি তার ক্ষমতা বলে তার বদলি আটকে দেয়। প্রায় ২ মাস পর আবারও তাকে একই কর্মস্থ থেকে মাদারীপুর জেলার রাজৈব উপজেলায় বদলি করা হয়। পর পর দুই বার তার বদলি আটকে দেয়া রেজিস্ট্রিশন বিভাগে বলাবলি হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলার অফিসারগণ এখন প্রশাসনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন।
Leave a Reply