নির্যাতিত গৃহবধু মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর এলাকার গোবিন্দল গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে হ্যাপী বেগম (২০)। নির্যাতিত গৃহবধুর পারিপারিক সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৫ বছর পুর্বে পাশ্ববর্তী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়েনের ছেনাইল গ্রামের মৃত হোসেন মিয়ার ছোট ছেলে মো. আব্দুল মান্নানের সাথে পারিবারিক হ্যাপী বেগমের বিয়ে হয়। নির্যাতিত হ্যাপী বেগমরে স্বামী আব্দুল মান্নান জানান ,বিয়ের পর থেকে তার মা, বড় ভাই মো. খোকন মিয়া (৪০) তার ভাতিজা মো. হাওহিদ হোসেন (২০) তার ভাবী রানী বেগম(৩৭) এবং তার বোন রোমানা বেগম । তার স্ত্রী হ্যাপী বেগম এবং তাকে গত ৫ বছর ধরে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ গত ২৪ আগস্ট (শনিবার) ভোর ৬ টার দিকে তিনি তার কর্মস্থলে চলে যান। এমন সময় তার স্ত্রী হ্যাপী বেগমকে বাড়িতে একা পেয়ে অনধিকার প্রবেশ করে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র তার মা আয়শা বেগম. বড় ভাই খোকন, ভাবী রানী বেগম এবং রোমানা তার ঘরে প্রবশে করে বাঁশের লাঠি ও কাঠ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা আঘাত করে। খবর পেয়ে হ্যাপী বেগমরে মা , ছোট ভাই তাদের বাড়িতে গেলে খোকন মিয়া তাদের দা দিয়ে দৌড়ানি দিলে তার পালিয়ে ধামরাই থানায় চলে যান। পরে হ্যাপী বেগমরে স্বামী আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আব্দুল মান্নান প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠবিচারে চেয়ে বলেন, ঘটনার পর থেকে সে এবং তার স্ত্রী বাড়িতে যেতে পারছে না। ভাই এবং ভাতিজার ভয়ে তিনি এখন পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার ভিটা বাড়িসহ দখল করে তাদের বাড়ি থেকে বিতারিত করার প্রায়তারা করছে । এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী তার। নির্যাতিত হ্যাপী বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়ি, ভাসর, ভাসরের স্ত্রী, ভাসরের ছেলে এবং ননদ মিলে তাকে যেকোনোভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। বিয়ের ৫ বছর হয়ে গেলেও তাদের সংসার জীবনে কোনো সন্তান হয়নি। তাদের থাকার যে ভিটা বাড়ি আছে সেটা তাদের নামে লেখে না দেওয়া তারা তাদের স্বামী স্ত্রী এমন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে।
Leave a Reply