মোস্তাইন বিল্লাহ
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বাংলাদেশের ন্যায় জামালপুর জেলাকেও ঘোষিত লকডাউনের আওতায় আনা হয়। সেই সুত্রে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সমস্ত হাটবাজার লকডাউন কার্যকর করা হয়। তার যের ধরে হাটবাজার গুলোতে ক্রয় বিক্রয় না থাকায় অধিক লোকসানের হিসাব গুনতে হচ্ছে স্ব- স্ব হাট ইজারাদারগণের। দেওয়ানগঞ্জের ইজারাদারগণ এই ক্ষতি থেকে নিস্তার চান। উপজেলার সানন্দবাড়ী হাটের রাজস্ব দেওয়া হয় এক কোটির উপরে, কাউনিয়ারচর হাটবাজারের প্রায় ত্রিশ লক্ষ, তারাটিয়া হাটের প্রায় ত্রিশ লক্ষ, ঝালোরচর হাটবাজারের ত্রিশ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্বে জমা দেওয়া হয়।
সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার মোঃ রেজাউল করিম লাভলু ইজারা অফিস কক্ষে ইফতার মাহফিল আয়োজনে সাংবাদিকদের বলেন- আমরা হাটবাজার বাবদ বছরে কোটি কোটি টাকা সরকারকে দিচ্ছি। চলমান লকডাউনে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে আছি। বছরের বিট নেই, প্রতি হাটের কালেকশন হওয়ার কথা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত দুই মাস লকডাউন থাকায় আমার কোন আয় হয়নি। কর্মচারীদের বিল দেওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনীত আবেদন, চলমান করোনা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে যে ভাবে প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহ যুগিয়েছেন, আমাদের হাট ইজারাদারদের প্রতি নজর রাখবেন বলে কামনা করছি।
কাউনিয়াচর হাট ইজারাদার শামসুল হক বলেন- এবছর প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার বিনিময় আমি হাট ইজারা নেই, কিন্তু এরকম অবস্থা চললে ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে পড়ে যাবো।
তারাটিয়া হাট ইজারাদার মোঃ আতোয়ার রহমান ও ঝালোরচর হাট ইজারাদার মোঃ ইসতেহার রহমান উপজেলা প্রশাসনের সহানুভূতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply