ঠিকাদারের উদাসিনতা ও অর্থভাবে সিংগাইর থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে দেড় বছরের কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৮ মাসে থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ৪ বছর পেরিয়ে যেতে চললেও এখনো পর্যন্ত সিংগাইর থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের ১৮% কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার! কাজের মন্থরগতির কারণ জানতে এ পর্যন্ত ঠিকাদারকে ৫ বার শোকজ করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ। এদিকে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনেই পুলিশ সদস্যদের থাকাসহ অফিস কার্যক্রম চলছে নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে।
সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দেশব্যাপী ১০১টি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছয়তলার ভীতসহ চারতলা বিশিষ্ট সিংগাইর থানা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা। সিংগাইর থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাবর এসোসিয়েটস ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় গণপূর্ত বিভাগ। কাজের শুরুতেই তার চরম উদাসিনতায় ১৮ মাসের কাজটি প্রায় ৪ বছরেও শেষ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ইতোমধ্যে ঠিকাদার কাজ শেষ করেছে মাত্র ১৮%।
এদিকে এই দীঘ সময়ে থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আইনশৃংখলা বিষয়সহ অফিসিয়াল কার্যক্রমে নানা সমস্যা হচ্ছে থানা পুলিশের। পুরাতন ভবনে বসার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রাত্রী যাপন করা কঠিন হয়ে পড়ছে পুলিশ সদস্যদের ।
মানিকগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, অর্থভাবে থানা কমপ্লেক্ম ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না । প্রকল্পের টাকা পেলেই দ্রুত কাজ শেষ করা সম্ভয়
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বলেন, দেশব্যাপী ১০১টি থানা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ প্রকল্পে এ জেলায় তিনটি থানা কমপ্লেক্স ভবণের মধ্যে ইতোমধ্যে দুইটির কাজ শেষ হয়েছে।
সিংগাইর থানা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদারের উদাসিনতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে দেড় বছরের কাজ আজ প্রায় ৫ বছর ধরে মন্থরগতিতে চলছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর ঠিকাদারকে (ডেড লাইন) চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে কাজটি বুঝে নিতে পারলে পুলিশ জনসেবায় নিজের আরও গতিশীল করতে পারবে।
Leave a Reply