নারায়ণগঞ্জের মিজমিজিতে শ্বশুরের সঙ্গে মিলে বানিয়েছেন আটতলা বাড়ি। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ এবং সড়ক ও জনপথের অসাধু প্রকৌশলীদের যোগসাজশে তিনি গড়ে তোলেন কোটি কোটি টাকার জমি ও ফ্ল্যাট ব্যবসা। এ ছাড়া এক প্রকৌশলী বন্ধুর সঙ্গে মিলে আফতাবনগরে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছেন আটতলা বাড়ি। শুধু তাই নয়, আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে রাজউকসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। কারও কাছ থেকে ৯০ হাজার, কারও কারও কাছ থেকে নিয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার।
জানা গেছে, এসব হতদরিদ্র তরুণের কারোরই চাকরি হয়নি কোথাও।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর কয়েক দফা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি বরাবরই থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আরও জানা গেছে, অর্থের গরমে করিম ধরাকে সরাজ্ঞান করেন। কাউকেই পরোয়া করেন না। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আয়েশি জীবন যাপন করেন। চড়েন ৬০ লাখ টাকা দামের গাড়িতে, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১২৩৪০৯। গাড়ির চালক ছিলেন রাজউকের মাস্টাররোলের কর্মচারী।
যেখানে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত হয় : করিমের রয়েছে এক বিশাল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট জমি ও ফ্ল্যাট কেনাবেচা এবং বিভিন্ন ধান্দাবাজির খোঁজ-খবর দেয় এবং বাস্তবায়ন করে। এ জন্য তিনি রাজউকের অফিস সময়সূচি বাদে ঢাকার হোটেল `৭১ ও ফারস হোটেল ব্যবহার করেন। এ দুই হোটেলেই রয়েছে তার ভাড়া করা স্যুট। এসব কক্ষে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়। তা ছাড়া মদ ও জুয়ার আসরও বসে। জানা যায়, অসামাজিক কার্যকলাপ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালতে তার বিরুদ্ধে সিআর মামলা হয়, যার নম্বর-২৯০৬। এই মামলায় জামিন নিতে গেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট : নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে করিমের অসংখ্য অ্যাকাউন্ট। এর মধ্যে বেশি লেনদেনের রেকর্ড রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে। অ্যাকাউন্ট নম্বর-১০-১৫১-৫৬১৬১। এই হিসাব জব্দ করা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
প্রকৌশলী আব্দুর করিম এখন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বদলি হয়ে রাজউক সদর দপ্তরে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply