1. nasiruddinsami@gmail.com : sadmin :
ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে চলতেন খুনি মাজেদ! - সংবাদ সারাদেশ ২৪
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আয় বেড়েছে ১১ গুণ, বাসায় নেই কোনো ইলেকট্রনিক মানিকগঞ্জ জেলার সকল থানার ওসি রদবদল সিংগাইরে ট্রাফি ট্রাক্টরের মাটি পড়ে সড়কের বেহাল অবস্থা সিংগাইরে ঘূণিঝড় মিগজাউমের কারণে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ মানিকগঞ্জ-২আসনে ১৫ প্রার্থীর মনোয়নপত্র দাখিল সবজিতে স্বস্তি, কমেনি চাল-ডাল-মাছ-মাংসের দাম মানিকগঞ্জ- ২আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম আব্দুল মান্নানের মনোনয়নপত্র দাখিল মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রতিকের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন – মমতাজ বেগম

ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে চলতেন খুনি মাজেদ!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৩ বার

ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে চলতো মাজেদ। এমনকি খেতে দিতে সামান্য দেরি হলে রেগে আগুন হয়ে যেতো বলে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের স্ত্রী সেলিনা ওরফে জরিনা বেগম।

ভারতের কলকাতায় দীর্ঘ দিন আলী আহমেদ পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন খুনি মাজেদ। সেখানে তিনি বয়সে ৩২ বছরের ছোট স্থানীয় এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীর ঘরে তাঁর ছয় বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানও আছে। সুদের কারবার ও টিউশনি করিয়ে চলতো মাজেদের সংসার।

কলকাতার ‘বর্তমান’পত্রিকায় প্রকাশিত সুজিত ভৌমিকের তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘ঘাতকের ডেরা’র তৃতীয় তথা শেষ পর্বে এ তথ্য উঠে এসেছে।

১১ এপ্রিল শনিবার রাতে ঢাকায় খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর বুধবার প্রকাশিত শেষ পর্বের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘রোজ দেশে ফোন করাই কাল হল মাজেদের’। সেখানেই উঠে এসেছে মাজেদের কলকাতার জীবনের অজানা এ কাহিনী।

কলকাতায় থাকা অবস্থায় প্রতিদিন দুটি নম্বর থেকে নিয়মিত ফোন করে বাংলাদেশে কথা বলতেন খুনি আবদুল মাজেদ। নম্বর দুটি হলো +৮৮০১৫৫২৩৮৭৯১৩ ও +৮৮০১৭১১১৮৬২৩৯। প্রতিবেদনের শেষ পর্বে এসে প্রতিবেদক সুজিত ভৌমিক বলছেন, সম্ভবত বাংলাদেশে নিয়মিত ফোন করতে গিয়েই ধরা পড়েছেন মাজেদ।

বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, বাংলাদেশে থাকা মাজেদের পরিবারের সদস্যদের ফোনে নিয়মিত আড়ি পাততো গোয়েন্দারা। ফলে মাজেদ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, সেই তথ্য সহজেই জেনে যায় তারা। এরপরই তাকে গ্রেফতারের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়।

বর্তমান পত্রিকায় বলা হয়ছে, কলকাতা শহরে মাজেদের অবস্থান জানতে খুব সম্ভবত ভারতের কোনও গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। যদিও এ নিয়ে দুই দেশের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তদন্তে জানা গেছে, কলকাতায় মাজেদ যে দুটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো, তার একটিও নিজের নামে ছিল না, স্ত্রীর নামে ছিল।

এমনিতে সুদের কারবার ও টিউশনির টাকায় সংসার চললেও সম্প্রতি তালতলা এলাকায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন মাজেদ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে টাকা আসত মাজেদের কাছে। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে আর পা দেওয়া হল না তাঁর। তার আগেই ফাঁসিকাঠে নিথর হলেন তিনি।

সূত্র- বর্তমান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2023 SangbadSaraDesh24.Com
Theme Customized By BreakingNews