কেরানীগঞ্জে পুলিশের দায়ের করা দুই নাশকতার মামলায় যুবলীগ নেতাসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি যুবলীগের এক নেতাও রয়েছেন।
জানা যায়, ১৯ জুলাই কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই জিয়াউদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অপর মামলাটি দায়ের করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই হিরন।
মডেল থানার মামলায় ঘটনাস্থল জনি টাওয়ার এলাকা আর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মামলায় ঘটনাস্থল কদমতলী সড়ক এলাকা। দুটি মামলাতেই নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার পর পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের তালিকায় রয়েছেন- কলাতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির (সভাপতি) নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক আফ্রাহিম বাবুল, হজরতপুর ইউনিয়ন জামাতের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, রোহিতপুর ইউনিয়ন জামাতের আমির মো. কাওসার, তারানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশ্রাফ ফারুকী, ঢাকা জেলা ছাত্রশিবিরের বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আ. কাদের জিলানী, ঢাকা জেলা শিবিরের এইচআরডি সম্পাদক নাজমুল হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, বাস্তা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. শামীমসহ ৩২ জন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলাটি তদন্ত করছেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আশিকুর রহমান আর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মামলাটি তদন্ত করছেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রাজিব হোসেন।
রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা জানান, মামলাটি তদন্ত অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে অনেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে যুবলীগ নেতা শামীমের গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের আহবায়ক ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। তিনি বলেন, তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নাশকতার সঙ্গে জড়িত না। পুলিশ রাতের আঁধারে বাসা থেকে ওকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি ওসি (দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা) সাহেবকে টেলিফোন করলাম। তিনি বললেন, দেখতেছি। এরপর শুনি ওকে চালান করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, কারো গায়ে তো যুবলীগ-শিবির এসব লেখা থাকে না। সে মামলার এজাহার নামীয় ২৬নং আসামি। এজন্য তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply