সংবাদ সারাদেশ টোয়েন্টিফোর.কম ডেস্কঃ
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম পরশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইতিমধ্যে দুজন গ্রামপুলিশসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম পরশের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদের তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইউনুসের বড় ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কফিল উদ্দিন লোকজন নিয়ে মারধর করেন আবুল কালাম আজাদকে। ঘটনাস্থলে গেলে তৌহিদুল ইসলাম পরশও মারধরের শিকার হন। সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। তাতে আসামি করা হয়েছে হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, দুজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ২১ জনকে। পুলিশ দুজন গ্রামপুলিশসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- গ্রাম পুলিশ মিন্টু রহমান ও সানোয়ার হোসেন এবং ইউপি চেয়ারম্যানের দুই ভাতিজা মোবারক হোসেন ও কদর হোসেন।
চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, একপক্ষের মামলায় ৪জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে আরেক পক্ষ অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেটিও এজাহারভুক্ত করা হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় আমি জড়িত না। বিষয়টি জানতামও না। পূর্ব বিরোধে মারামারি হয়েছে।’
Leave a Reply