বিশ্বে একের পর এক দেশগুলো যখন করোনার করাল গ্রাসে পরিণত হচ্ছিল মৃত্যুপুরীতে। তখন অনেকটাই স্বস্তিতে ছিল বৃহত্তম দেশ রাশিয়া। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে শিরোনাম হয়েছিল, ‘ রাশিয়ায় করোনার লাগাম পুতিনের হাতে।’ কিন্তু সেই শিরোনাম বোধহয় টিকলো না। প্রাণঘাতি করোনা চীন থেকে পাড়ি জমিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা তছনছ করে এবার নতুন শিকার হিসেবে বেছে নিল রাশিয়াকে। এদিকে মৃত্যুপুরী স্পেনের অর্থনীতি বাঁচাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাতগুলো সচল করেছে সরকার। ফলে সোমবার ( ১৩ এপ্রিল) সেখানে লাখ লাখ মানুষ কাজে ফিরেছেন।
সোমবার রাত পর্যন্ত করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্বে ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এবার শিকার রাশিয়া:
গেল ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান শহরে উৎপত্তির পর বিশ্বের বহু দেশে তাণ্ডব চালালেও বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায় সেভাবে বিস্তার ঘটাতে পারেনি করোনাভাইরাস। তবে হঠাৎ করেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে দেশটিতে।
করোনায় প্রাণহানি ও অসুস্থদের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১৩ এপ্রিল) দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৫৮ জন। যা সেখানে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড । আগের ২৪ ঘন্টায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ১৮৬ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৮ জন।
দ্রুত গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃতের সংখ্যা সে তুলনায় কম। রাশিয়ার করোনাভাইরাস ক্রাইসিস রেসপন্স সেন্টার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৪৭০ জন।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল নিয়ন্ত্রণে ‘ডিজিটাল পারমিট সিস্টেম’ চালু করছে মস্কো কর্তৃপক্ষ। ঘর থেকে বের হয়ে গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করতে চাইলে অনলাইনে আগেই অনুমতি নিতে হয় বাসিন্দাদের।
নিউইয়র্কেই মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়াল:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় মৃত্যুতে সব দেশকে ছাড়িয়ে এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। তবে দেশটির অন্যান্য সব শহরকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক শহরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত আরও ৬৭১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটির এই শহরেই মৃতের সংখ্যা এখন ১০ হাজার ৫৬। অন্যদিকে নিউইয়র্কসহ পুরোদেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ হাজার ৮৫০ জন।
এছাড়া এই ভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৭ এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৩৫ জন। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু মার্ক কুমো বলেছেন, শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার কমেছে। তবে মৃত্যুর এই সংখ্যা এখনও অনেক বেশি। নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যু ভয়াবহ ব্যাথা এবং শোকের সঙ্গে সমান্তরাল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম সোমবার নিউইয়র্কে প্রাণহানির সংখ্যা সাতশ’র নিচে নেমে এসেছে। নিউইয়র্কের গভর্নর বলেন, এই ভাইরাস নিখুঁত ঘাতক ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে নিউইয়র্কে আরও প্রায় দুই হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
এদিকে, সোমবার পর্যন্ত শুধুমাত্র নিউইয়র্কেই চার লাখ ৬২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক লাখ ৮৯ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন।
ইতালির স্বস্তি টিকলো না ২৪ ঘণ্টাও:
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃত্যু এবং সংক্রমণে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইতালিতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শেষ দেখতে বুক বাধছে দেশটির কোটি কোটি মানুষ। করোনায় লাগামহীন প্রাণহানির পর গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে কিছুটা স্বস্তির খবর হয়ে এসেছে কম মৃত্যু।
এক সপ্তাহ আগে ইতালিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি থাকলেও সম্প্রতি তা নিম্নমুখী হয়েছে। রোববার দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন মাত্র ৪৩১ জন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই সংখ্যা আবার কিছুটা বেড়েছে। সোমবার দেশটিতে করোনায় প্রাণ গেছে আরও ৫৬৬ জনের।
মৃত্যু বাড়লেও নতুন সংক্রমণ কমেছে ইউরোপের এই দেশে। রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন চার হাজার ৯২ জন; সোমবার নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার সেই সংখ্যা তিন হাজার ১৩৫।
গত ৭ এপ্রিলের পর দেশটিতে নতুন সংক্রমণের এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। ফেব্রুয়ারিতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইতালিতে মারা গেছেন ২০ হাজার ৪৬৫ জন। দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থা বলছে, বিশ্বে করোনায় মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পর এখন ইতালির অবস্থান।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যাতেও যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনের পেছনে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৫১৬ জন।
তবে গত ১০ দিনের মতো আইসিইউতে রোগীর সংখ্যাও কমেছে ইতালিতে। রোববার তিন হাজার ৩৪৩ জন আইসিইউতে থাকলেও সোমবার তা তিন হাজার ২৬০ জনে নেমে এসেছে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৫ হাজার ৪৩৫ জন।
সৌদিতে আরও ৪৭২ জন করোনা আক্রান্ত:
সৌদি আরবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭২ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চার হাজার ৯৩৪ জনে। এ ভাইরাসে একদিনে ছয় জনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির বাংলাদেশ জেদ্দা কনসুলেটের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সৌদিতে করোনায় ১৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে দেশটিতে স্থানীয় নাগরিকদের চেয়ে অভিবাসীদের সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। অসচেতনতাই এর মূল কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এক গবেষণায় দেখা যে আগামী কয়েক সপ্তাহে সৌদি আরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে দুই লাখ পর্যন্ত হতে পারে। সৌদি সরকার এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি সরকারের নির্দেশনা পালন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের তাদের ভাষায় প্রত্যেককে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এশিয়ায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইরান:
এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি ইরান। দেশটিতে ৭৩ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৫৮৫ জনের। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্পিকার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্মীয় নেতা ও আইনপ্রণেতা ছাড়াও অনেক হাই প্রোফাইল নেতা প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত্যুপুরী স্পেনে কাজে ফিরল লাখো মানুষ:
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াল থাবার মুখে পড়া স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। আগের দিন অর্থাৎ রোববার ও দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৬১৯।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটিতে জারিকৃত লকডাউনে শিথিলতা এনেছে স্পেন। সোমবার থেকে দেশটির বেশকিছু খাতের কর্মীদের কাজে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ঘরে বন্দি থাকা লাখো মানুষ কাজে ফিরতে শুরু করলেও দেশটিতে তিন হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত এখন এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৬ এবং মৃত ১৭ হাজার ৪৮৯।
কয়েকদিন ধরে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের সংখ্যা কমে আসায় পরিস্থিতির উন্নতি দেখছে স্পেন সরকার। যে কারণে সোমবার থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ শিল্প ও উৎপাদন খাত পুনরায় খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট কিছু খাতের মানুষকে কাজে ফেরার অনুমতি দেওয়া হলেও দেশটির অধিকাংশ মানুষকে এখনও ঘরেই কাটাতে হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দোকান-পাট, বার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য জনসমাগমপূর্ণ এলাকা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, নির্মাণ খাত, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, কল-কারখানা, ধাতব-শিল্প, শিপইয়ার্ড কর্মী, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ মানুষ সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন। দেশটির নির্মাণখাতের শ্রমিকদের একটি সংগঠন বলছে, কাঠ ও ফার্নিচার শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১৭ লাখ কর্মী পুনরায় কর্মে ফিরেছেন।
সোমবার সকালের দিকে যখন লাখ লাখ মানুষ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন; তখন দেশটির প্রধান প্রধান পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক বিতরণ করা হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্নান্দো গ্র্যান্ডে-মার্লাস্কা বলেন, কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। যদি সর্বনিম্ন সংক্রমণও ঘটে, তাহলে কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে না।
চলতি মাসের শুরুর দিকে স্পেনে করোনায় প্রত্যেক দিনে মৃত্যু ও সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ড হয়। তবে গত কয়েকদিন ধরে সেই সংখ্যা কমে আসায় দেশটির সরকার অপরিহার্য কিছু খাতকে সচল করার ঘোষণা দেয়।
সোমবার সকালের দিকে মাদ্রিদের আটোচা ট্রেন স্টেশনের সামনে অল্প কয়েকটি কমিউটার ট্রেন আসে। সেখান থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিছু কিছু গণপরিবহণও যাত্রী পরিবহন করেছে। তবে কিছু এলাকায় লাখ লাখ মাস্ক বিতরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ বলেন, বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই অর্থনীতি বাঁচানোর মতো কিছু খাতে পুনরায় কাজ শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের বিষয়গুলো ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের অর্জনের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, আমরা এখনও বিজয় থেকে অনেক দূরে। যে সময়টাতে আমরা স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারবো; সেটি অনেক দূরে। তবে আমরা বিজয়ের পথের প্রথম সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এদিকে, মানুষকে কর্মস্থলে ফেরার অনুমতি দেওয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব আবারও শুরু হতে পারে; এমন আশঙ্কায় আঞ্চলিক অনেক নেতা দেশটির সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছনে। দেশটির বুর্গোসভিত্তিক বেসরকারি কোম্পানি নিকোলাস কোরেয়া বলেছে, তারা কোম্পানির কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ করবে।
ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গিনদোস বলেন, ইউরোপ সাধারণত পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় মারাত্মক সঙ্কটের মুখে পড়বে স্পেন।
স্প্যানিশ অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নয় লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। দেশটির সাবেক এক অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমরা (১৯৩৬-৩৯ স্প্যানিশ) গৃহযুদ্ধের পর সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছি। এই মহামারির কারণে ঐতিহ্যবাহী সব উৎসব বাতিল হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল, রয়টার্স। এনএমএস।
Leave a Reply