সংবাদ সারাদেশ ২৪.কম ডেস্কঃ
ঝিনাইদহে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির দাফনে শনিবার রাতে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেনি এবং কোনো সহযোগিতাও করেনি। এমনকি কোনো মাওলানাও না পেয়ে অবশেষে জানাজা পড়িয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের সামাদ আলি (৫০) ফরিদপুরে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। গত শনিবার সকালে তিনি মারা যান। বিকালে মেডিক্যাল কলেজের এ্যাম্বুলেন্সে তার ভাই আব্দুর রকিব লাশ ঝিনাইদহ থানায় নিয়ে আসেন। থানা থেকে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ ও পুলিশ লাশ নিয়ে খাজুরা গ্রামে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে গ্রামের কয়েকজনকে দিয়ে কবর খনন করা হয়। এরপর লাশ গোরস্থানে আনলে জানাজা পড়ানোর লোক পাওয়া যায়নি। অবশেষে জেলা প্রশাসকের অনুরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ জানাজা পড়ান।
জানাজায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল বাশেত, সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকসহ আঞ্জুমান মফিদুলের কয়েকজন সদস্য।
এদিকে শনিবার গভীর রাতে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গে মারা যান খাঞ্জাপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ইসরাইল লস্কর। হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাশ বাড়িতে নিতে চাইলে কোনো যানবাহন চালক রাজি হয়নি। পুলিশ অনেক কষ্টে একটি যান যোগাড় করে বাড়ি পর্যন্ত নিলেও দাফনে গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে দুই জন পুলিশ সদস্য ও কয়েকজন আলেম জানাজায় অংশ নেন এবং লাশ দাফন করা হয়।
Leave a Reply