ইনস্টাগ্রামে সেই গল্পই শুনিয়েছেন কোহলি। সাবেক ইংলিশ তারকা কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক চ্যাটিংয়ে কোহলি বলেন, মাংস খেতে ভীষণ পছন্দ করতাম। কিন্তু ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের সময় মেরুদন্ডের সমস্যা অনুভব করি। মেরুদন্ডের ঘাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত অংশের একটি ডিস্ক ফুলে ওঠে এবং এটি একটি নার্ভকে সঙ্কুচিত করে ফেলে, যেটি সরাসরি বিস্তৃত ছিল আমার ডান হাতের কনিষ্ঠা পর্যন্ত। ব্যথায় পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। রাতে ঘুমাতেই পারছিলাম না। এরপর পরীক্ষা করালাম।
কোহলি আরও বলেন, আমার শরীর এত বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করছিল যে শরীর ছিল প্রচণ্ড অ্যাসিডময়। তাতে যেটা হচ্ছিল, যদিও আমি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এসব নিচ্ছিলাম, আমার শরীরকে যথেষ্ট কার্যকর রাখার জন্য একটি ট্যাবলেট পর্যাপ্ত হচ্ছিল না। আমার পাকস্থলি তাই হাড় থেকে ক্যালসিয়াম টেনে নিচ্ছিল এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্যই সমস্যাটি হচ্ছিল। ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হওয়া ও শরীরে অ্যাসিড কমাতেই আমি ইংল্যান্ড সফরের (২০১৮) মাঝপথে মাংস খাওয়া পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম। এরপর জীবনে এত ভালো আগে কখনও অনুভব করিনি। অসাধারণ লেগেছে। দুই বছর হয়ে গেল, সেটিই আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। সকালে ঘুম থেকে উঠতে এত ভালো কখনও লাগেনি। খেলার পর রিকভারি করার সময় এত ভালো আগে লাগেনি। এক সপ্তাহে আমাকে যদি তিনটি টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচ খেলতে বলা হয়, প্রতিটিতেই আমার ১২০ শতাংশ এফোর্ট পাবেন। টেস্ট ম্যাচের পর এক দিনের মধ্যেই আমার রিকভারি হয়ে যায়। তখনই আরেকটি টেস্ট খেলতে পারি।
কোহলি আরও বলেন, মাংস না খেয়ে থাকায় এত ভালো লাগছে। সত্যি বলছি, নিরামিষাশী হওয়ার পর মনে হয়েছে, আরও আগে কেন এটা করিনি। আরও ২-৩ বছর আগেই করা উচিত ছিল। সবকিছুই পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এটা, আগের চেয়ে ভালো লাগছে, ভালোভাবে ভাবছি, শরীরের ওজন কম মনে হচ্ছে, ইতিবাচক মনোভাব থাকছে, আরও বেশি কিছু করার প্রাণশক্তি পাচ্ছি। সব মিলিয়েই এটি অসাধারণ, অসাধারণ এক পরিবর্তন।
Leave a Reply